![]()
বাংলাদেশের রাজনীতি ও মানবিক পরিস্থিতি ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইস্যু—তারেক রহমানের পাসপোর্ট এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা—নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, তারেক রহমান বর্তমানে বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট ধারণ করেন কি না—এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি ট্রাভেল পাশ চাইলে তা ‘সঙ্গে সঙ্গেই’ ইস্যু করা হবে বলে আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন বলেন,
“আমাদের কাছে তারেক রহমানের পাসপোর্ট আছে কি না, এমন তথ্য নেই। তবে তিনি ট্রাভেল পাশ চাইলে তা তাৎক্ষণিক দেওয়া হবে।”
এ বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের ফেরত আসার প্রক্রিয়ায় কোনো প্রশাসনিক বাধা নেই।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতার বার্তা
সাক্ষাৎকারে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা। তাঁর শারীরিক অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে, যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের সব মানুষের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,
“চিকিৎসকদের পরামর্শ এবং পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দল বা পরিবার সিদ্ধান্ত নিলে সরকার প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক ব্যবস্থা নিতে দেরি করবে না।
এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটি মানবিক সংকট মোকাবিলায় আন্তরিকতার বার্তা পাওয়া যায়।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে সরকারকে কিছু জানানো হয়নি
তারেক রহমানের বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন,
“এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি।”
অর্থাৎ, তারেক রহমান বা তার আইনি প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে দেশে ফেরার কোনো প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।
মূল বিষয়গুলোর সারাংশ:
-
তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য নেই।
-
তিনি ট্রাভেল পাশ চাইলে তা অবিলম্বে ইস্যু করা হবে।
-
বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
-
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সরকার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পায়নি।
এ সংবাদটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়; এটি একজন অসুস্থ নেত্রীর মানবিক চিকিৎসা প্রাপ্তি, একজন নাগরিকের দেশে ফেরার অধিকার এবং রাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থান—সবকিছুকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হওয়া প্রশ্নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্তর।