• হোম > বিনোদন > দুই ট্রাকের মাঝে চাপা পড়ে প্রাণ হারালেন সোফিয়া

দুই ট্রাকের মাঝে চাপা পড়ে প্রাণ হারালেন সোফিয়া

  • মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:০৫
  • ৭৫

---

দক্ষিণ আমেরিকার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও তরুণ বাইকার ক্যারেন সোফিয়া কুইরোজ রামিরেজের জীবন মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই স্তব্ধ হয়ে গেল একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায়। কলম্বিয়ার ফ্লোরিডাব্লাঙ্কা শহরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা শুধুই আরেকটি মৃত্যুর সংখ্যা নয়—এটি এক তরুণীর স্বপ্ন, উচ্ছ্বাস, প্রতিভা ও ভবিষ্যতের অকাল অবসান।

২৫ বছরের প্রাণবন্ত এই তরুণী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ‘বাইকারগার্ল’ নামে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। মোটরসাইকেল চালানোর প্রতি গভীর ভালোবাসা, অ্যাডভেঞ্চার ভিডিও এবং সচেতনতা–ভিত্তিক কনটেন্টের মাধ্যমে তিনি লাখো মানুষের মন জয় করেছিলেন।

দুর্ঘটনার মুহূর্ত: দুই ট্রাকের মাঝে দুঃসহ মৃত্যু

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর লেন পরিবর্তনের সময় সোফিয়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইটি ট্রাকের মাঝখানে পড়ে যান। রাস্তার একপাশে একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটি তাকে চাপা দেয়।
ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

কলম্বিয়ার পরিবহন কর্মকর্তা জাহির আন্দ্রেস কাস্তেলানোস জানান,
“রামিরেজ দুই গাড়ির মাঝ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।”
তদন্ত দল প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছে, দুর্ঘটনায় অন্য কোনো চালকের অবহেলা ছিল কি না তা নিশ্চিত করতে।

মৃত্যুর আগে সোফিয়ার ভবিষ্যদ্বাণীমূলক পোস্ট!

দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে সোফিয়া নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন, যা এখন আরও বেশি হৃদয়বিদারক মনে হচ্ছে। তিনি লিখেছিলেন—
“আশা করি যেন ক্র্যাশ না করি, কারণ আমি আমার চশমা ছাড়া বাইক চালাচ্ছি।”

স্থানীয় প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি নিয়মিত যে চশমা ব্যবহার করতেন সেটি হারিয়ে ফেলেছিলেন। দৃষ্টিসংক্রান্ত ঝুঁকি নিয়েই তিনি বাইক চালাতে বের হয়েছিলেন—যা হয়তো তার শেষ ভুল হয়ে দাঁড়ায়।

এক তরুণ স্বপ্নবাজের অসমাপ্ত গল্প

সোফিয়া শুধু একজন ইনফ্লুয়েন্সার বা বাইকার ছিলেন না, ছিলেন তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। নারীদের বাইকিং কমিউনিটিতে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি সবাইকে উৎসাহিত করত। তার নিখোঁজ উপস্থিতিতে শোকাহত পরিবার, বন্ধু, অনুরাগী এবং বাইকার কমিউনিটি।

হাসি-উচ্ছ্বাসে ভরা এক তরুণীর মৃত্যুর এই ট্র্যাজেডি দক্ষিণ আমেরিকার সীমানা পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতারও নতুন প্রশ্ন তুলেছে এই ঘটনা।

মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে হয়—যেন আরও কোনো তরুণ প্রাণ অকালেই ঝরে না যায়, সড়ক নিরাপত্তায় সচেতনতা বাড়ানো এখন জরুরি।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/7405 ,   Print Date & Time: Thursday, 18 December 2025, 01:49:22 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh