বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় পুরো দেশজুড়ে উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র ও দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন—রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগলেও সাম্প্রতিক চিকিৎসাজনিত জটিলতা তার শারীরিক পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে।

শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে তারেক রহমান আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান নোবেল বিজয়ী ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি উল্লেখ করেন—দেশের প্রবীণ এই নারী নেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে ড. ইউনুস প্রতিদিন খোঁজখবর নিচ্ছেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। মানবিকতা, সহমর্মিতা ও রাজনৈতিক সৌজন্যের অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে এমন উদ্যোগ।

তারেক রহমান তার পোস্টে আরও লেখেন—
“গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই সময়ে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতির জন্য এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার সুস্থতা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ড. ইউনুসের এই বক্তব্য রাজনৈতিক ভেদাভেদ ছাপিয়ে মানবিকতারই বার্তা বহন করে।

এদিকে শুক্রবার রাতেই খালেদা জিয়ার অবস্থা জানতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছুটে যান অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিএনপির শীর্ষ নেতারা। হাসপাতালের করিডোরে উদ্বিগ্ন মুখ, নীরব দুশ্চিন্তা এবং প্রার্থনামুখর পরিবেশ যেন সবাইকে স্পর্শ করছিল। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন—তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং সামান্য পরিবর্তনও নিবিড় পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে শুধু একটি বিষয়ই—বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা। দলমত নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া ও শুভকামনা জানাচ্ছেন। একজন প্রবীণ নেতা, একজন মা, একজন অসুস্থ মানুষ হিসেবে তার চিকিৎসা নিয়ে গভীর মানবিক সহমর্মিতা তৈরি হয়েছে সর্বস্তরে।

মানুষের প্রত্যাশা একটাই—
তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।
তার জন্য দেশজুড়ে প্রার্থনা যেমন বাড়ছে, তেমনি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেও সর্বোচ্চ সহায়তার দাবিও জোরালো হচ্ছে।