![]()
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং টিউলিপসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আদালত আগামী ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
আজ ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এর বিচারক রবিউল আলম এই দিন ধার্য করেন। মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্যও দিন ধার্য ছিল। আসামি খুরশীদ আলম আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন। তবে শেখ হাসিনা ও অপর ১৬ আসামি পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থন করেননি।
দুদক-এর পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন দুদক-এর উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলায় টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে ১০ মার্চ দুদক-এর সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া চার্জশিট দাখিল করেন, যার মাধ্যমে মোট ১৭ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, এবং পরবর্তীতে তদন্তে যুক্ত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।