
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে এই কাঠামো তৎক্ষণাৎ নয়—পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর হবে বলে রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মত রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের আগের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দেন। বেঞ্চের অন্যান্য বিচারপতি ছিলেন মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, এস এম ইমদাদুল হক, এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব।
আইনজীবীদের ব্যাখ্যায় জানা যায়, এই রায়ের ফলে কার্যত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনর্বহাল হয়েছে।
বহুল আলোচিত এই মামলায় বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী শরীফ ভূইয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী এম. সলিম উল্লাহসহ তিন জন হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ সংশোধনীটি বাতিল ঘোষণা করে; এরপর পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইন এবং প্রকাশিত হয় গেজেট।
এই বাতিলাদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকসহ আরও একজন আবেদনকারী। সেই রিভিউ আবেদনের ভিত্তিতে আপিল শুনানির অনুমতি মেলে এবং ২১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়। টানা দশ দিন শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আপিল বেঞ্চ।