![]()
গত এক দশকে রিয়াদ-ওয়াশিংটন সম্পর্ক অনেক ওঠানামার মধ্য দিয়ে গেছে। ২০১৮ সালে প্রবাসী সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের কারণে দুই দেশের সম্পর্ক তীব্র নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছিল।
পরবর্তী সাত বছরে দুই দেশের নেতারা সম্পর্ক জোরদার করার নানা উদ্যোগ নেন। সেই প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ আজ যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লাল গালিচা বিছিয়ে সালমানকে ওয়াশিংটনে বিলাসবহুল রাষ্ট্রীয় সম্বর্ধনা দেবেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় রয়েছে ফ্লাই-বাই, কামানের গোলা এবং অভিজাত নৈশভোজের আয়োজন, যা সাধারণত রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য আয়োজন করা হয়।
এই সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প additionally সালমানকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্যও উৎসাহ দেবেন।
২০১৮ সালে সর্বশেষ ওয়াশিংটন সফরে এসেছিলেন এমবিএস। এ সফরটি খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম, যা থেকে নেতিবাচক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চাইছেন যুবরাজ। সৌদি আরব বরাবরই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দীর্ঘ সময় ধরে ৪০ বছর বয়সী যুবরাজ ট্রাম্প ও তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। গত মে মাসে ট্রাম্প সৌদি সফরে গেলে বিন সালমান তাকে রাজকীয় সম্বর্ধনা দেন এবং ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন।
এবারের সফরে বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার অঙ্গীকার চাইবেন, বিশেষত গত সেপ্টেম্বরে কাতারে ইসরায়েলের হামলার পর। এছাড়া রিয়াদ এফ-৩৫ স্টেলথ জেট এবং আধুনিক আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার আগ্রহ দেখাবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প চাইছেন সৌদি আরবকে দিয়ে আব্রাহাম চুক্তিতে সই করাতে। তবে এ মুহূর্তে সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।