• হোম > অর্থনীতি > জাতীয় নির্বাচনের আগে বডি ক্যামেরা কেনা চূড়ান্ত পর্যায়ে

জাতীয় নির্বাচনের আগে বডি ক্যামেরা কেনা চূড়ান্ত পর্যায়ে

  • মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:০০
  • ৪৪

---

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠপর্যায়ের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী ও স্বচ্ছ করতে আগে নেয়া হয়েছিল ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবার সেই সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


বডি ক্যামেরার সংখ্যা কমানো হচ্ছে কেন?

অর্থ উপদেষ্টা বলেন—
“বডি ক্যামেরা নিয়ে অনেক পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা যৌক্তিকভাবে ক্যামেরা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের যেসব জায়গা সেনসিটিভ, সেই এলাকাগুলোতেই বডি ক্যামেরা ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে। সব জায়গায় একসঙ্গে বডি ক্যামেরা দেওয়া সম্ভব নয়।”

ক্যামেরা পরিচালনা, সংরক্ষণ, ডেটা তদারকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার দিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন—
“বডিক্যাম আসবে। তবে যৌক্তিক সংখ্যা অনুযায়ী আসবে।”


৪০ হাজার থেকে কত কমবে?

সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন—
“সংখ্যাটা কমবে। তবে কত কমবে তা এখন বলতে চাই না। প্রস্তাব যখন আসবে তখন বিস্তারিত জানা যাবে।”

সরকারের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনের নিরাপত্তা ও আর্থিক দায়িত্বশীলতার মধ্যে ভারসাম্য আনার প্রচেষ্টার প্রতিফলন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


নির্বাচনের আগেই আসবে বডি ক্যাম

বডি ক্যামেরা কেনা কবে নাগাদ শেষ হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন—
“শিগগিরই আসবে। হয়তো পরের সপ্তাহেই প্রস্তাব পেয়ে যাব।”

এ অর্থে ধারণা করা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বডি ক্যামেরা সংগ্রহ, বিতরণ ও ব্যবহার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।


নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মানবিক গুরুত্ব

নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি—

  • ভোটারদের নিরাপত্তা,

  • মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহি,

  • সহিংসতা প্রতিরোধ,

  • মানবাধিকার সুরক্ষা—

এই সব কিছুর ওপর বড় প্রভাব ফেলে। বডি ক্যাম ব্যবহারের ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার ভিডিও প্রমাণ, দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এটি শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই শক্তিশালী করবে না, জনগণের আস্থাও বৃদ্ধি করবে—যা নির্বাচনকালীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে অত্যন্ত জরুরি।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/6900 ,   Print Date & Time: Thursday, 27 November 2025, 10:23:19 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh