
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের সব রাজনৈতিক দলকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি বর্তমানে বিভ্রান্তি ও জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার সবার সমর্থনে গঠিত হলেও রাজনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের অগ্রগতি এখনো স্পষ্ট নয়।
ফখরুল বলেন, “হতাশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কিছু মহল দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রে পৌঁছানোর একমাত্র পথ হল নির্বাচন।”
তিনি উল্লেখ করেন, আগামীকাল (সোমবার) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা গণহত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশের জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। “একটি গোষ্ঠী পরিস্থিতি ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে, তাই জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই,” যোগ করেন ফখরুল।
ফখরুল স্মরণ করেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জনগণ রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এখন তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে অধিকার ফিরে পেতে চায়। দেশ গড়ার এই সুযোগ যেন হারানো না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
মওলানা ভাসানীর আদর্শের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, তিনি স্বাধীনতা ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন দেখেননি। ভাসানীর সঙ্গে বিএনপির ঐতিহাসিক সম্পর্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাসানী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সঠিকভাবে চিনতে পেরেছিলেন এবং তাঁর হাত ধরেই ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দাসত্বমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।