![]()
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের একটি আদালত ভবনের বাইরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে একটি ক্যাডেট কলেজে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। দুটি হামলার জন্যই ভারতকে দায়ী করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
বুধবার দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিটে ইসলামাবাদ জেলা আদালতের প্রবেশদ্বারের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে। আদালত এলাকায় মামলার কাজ ও দর্শনার্থীদের ভিড় থাকায় হতাহত বেড়ে যায়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি জানান, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজে চিকিৎসা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের ক্যাডেট কলেজে হামলার ঘটনাতেও তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নাকভি। দুটি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “এ দুটি ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের নিকৃষ্টতম উদাহরণ।” তবে তিনি অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। এক্স (টুইটার)-এ দেয়া এক পোস্টে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভারতের “ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের” নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান এবং বলেন, “সন্ত্রাসবাদের অভিশাপ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান এই যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।”
অন্যদিকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ভুটান সফরে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। থিম্পুতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “তদন্তকারীরা ষড়যন্ত্রের মূল পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।”
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, লাল কেল্লার বিস্ফোরণটি পরিকল্পিত নাশকতা। যদিও এখন পর্যন্ত কেউ এর দায় স্বীকার করেনি। তদন্তে উঠে এসেছে, ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক মোহাম্মদ উমর এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজন। ইন্ডিয়া টুডে’র তথ্যমতে, উমর ফরিদাবাদ সন্ত্রাসী মডিউলের সদস্য এবং বিস্ফোরণের আগে ব্যবহৃত হুন্দাই আই২০ গাড়িটি তিনিই চালাচ্ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে তাকে গাড়ির চালকের আসনে দেখা গেছে। গাড়িটি বিস্ফোরণের আগে প্রায় তিন ঘণ্টা সুনেহরি মসজিদের কাছে পার্ক করা ছিল।