• হোম > রাজনীতি > বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় দেশজুড়ে সংঘর্ষ–বিক্ষোভ

বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় দেশজুড়ে সংঘর্ষ–বিক্ষোভ

  • মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৪১
  • ৪৯

---

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী তালিকা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। দলীয় কোন্দল, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর ও সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন— আহত হয়েছেন অসংখ্য কর্মী-সমর্থক।

গত ৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দেয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও সহিংসতা।


দলে অস্থিরতা: বঞ্চিতদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত তৃণমূল

মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, “ত্যাগী ও যোগ্য” প্রার্থীদের বাদ দিয়ে ‘অর্থবিত্ত ও প্রভাবশালী’ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ কর্মীরা বিভিন্ন জেলায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ, মশাল মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জ, গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল, মেহেরপুর, চাঁদপুর, কুষ্টিয়া, রংপুর ও সাতক্ষীরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।


সহিংসতায় প্রাণহানি ও আহত বহু

  • মুন্সিগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আরিফ মীর (৪০)।

  • ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সংঘর্ষে অসুস্থ হয়ে মারা যান ছাত্রদল কর্মী তানজিম আহমেদ আবিদ (৩০)।

  • চট্টগ্রামে এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে গুলিতে আহত হন তিনজন, নিহত হন সরওয়ার হোসেন বাবলা।


কঠোর অবস্থানে হাইকমান্ড

বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংঘর্ষ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,

“নেতাকর্মীদের পছন্দ থাকতে পারে, কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


পুনর্বিবেচনায় ২১টি আসন

সূত্র জানিয়েছে, প্রার্থী ঘোষণার পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ২১টি আসনে পুনর্বিবেচনা চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছেন পরিস্থিতি। সহিংসতা রোধে কিছু আসনে মনোনয়ন পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে।


বিশ্লেষণ: নির্বাচনের আগেই পরীক্ষায় বিএনপি

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে দলীয় ঐক্য ধরে রাখা বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ সময় পর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে যাওয়ার প্রাক্কালে এই অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দলের জনমুখী ভাবমূর্তি ও সাংগঠনিক সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/6635 ,   Print Date & Time: Wednesday, 26 November 2025, 11:52:07 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh