![]()
সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর কারসাজি, ভুয়া তথ্য প্রদান এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার অভিযোগে ১২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে মোট ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন বিভাগ গত মাসে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। আদেশে বলা হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসইসির তথ্যানুসারে, ২০২১ সালের ১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোনালী পেপারের শেয়ার লেনদেনের ওপর তদন্ত চালানো হয়। তদন্তে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫৪৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ৯৫৭ টাকা ৭০ পয়সা হয়। এই অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির পেছনে শেয়ারদর কারসাজি ও সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এর প্রেক্ষিতে বিএসইসি জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করে। একই অভিযোগে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রিন্স মজুমদার, পরিচালক চৌধুরী ফজলে ইমাম, মোহাম্মদ আদনান ইমাম ও নিলুফার ইমাম, ওরাকল সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক হাসান শাহিদ সারওয়ার, স্বতন্ত্র পরিচালক রোকেয়া ইসলাম ও জাহরুল সৈয়দ বখত, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহ জালাল উদ্দিনকে প্রত্যেককে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে, এমএস তাহসিন এন্টারপ্রাইজের পক্ষে পারভীন আক্তার হাজি আহমাদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বড় অঙ্কের লেনদেন, মোবাইল ও ই-মেইল পরিবর্তন, স্বাক্ষর জালিয়াতি, তথ্য গোপন এবং সমস্যা সমাধানে কালক্ষেপণের অভিযোগ করেন।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে বিএসইসি কোম্পানিটির এমডি রাকিব মো. ফখরুলকে ২ কোটি টাকা, ট্রেড ও অপারেশন প্রধান অমল কৃষ্ণ সাহাকে ১ লাখ, আর্থিক ও হিসাব বিভাগের ম্যানেজার মো. নকিবুল ইসলামকে ১ লাখ, এবং চট্টগ্রাম শাখা ম্যানেজার এজাজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে।