• হোম > বাংলাদেশ > নির্বাচনকে ঘিরে যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে, তারা আসলে স্বৈরাচার শক্তির সহযোগী — মন্তব্য করেছেন শফিকুল আলম।

নির্বাচনকে ঘিরে যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে, তারা আসলে স্বৈরাচার শক্তির সহযোগী — মন্তব্য করেছেন শফিকুল আলম।

  • শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৬
  • ৪০

---

নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তির সুযোগ নেই—যারা এমন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

তিনি শুক্রবার সকালে নেত্রকোণা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

শফিকুল আলম বলেন, “যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে, তারা একসময় পতিত স্বৈরাচারের সহযোগী ছিল। কেউ হয়তো পূর্বাচলে প্লট পেয়েছেন, কেউ আবার তার কাছ থেকে মনিটরিং সুবিধা ভোগ করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে।”

দেশের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, “বাংলাদেশে আগে থেকেই মব ভায়োলেন্স ছিল। চব্বিশের জুলাইয়ের পর কিছু ঘটনা ঘটলেও এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।”

সংস্কার ও সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মফস্বল সাংবাদিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে নিউজ তৈরি করেন। তাদের সংগৃহীত ফুটেজ টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে প্রচার হয়ে আয় হয়, অথচ সাংবাদিকরা প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি পান না। শুধু আইডি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, ‘যাও, করে খাও।’ এই অবস্থা পরিবর্তনে সাংবাদিকদেরই সোচ্চার হতে হবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “যিনি আলী রিয়াজকে নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, তিনি মিথ্যাচার করেছেন। তার উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। ঐকমত্য কমিশনের প্রেস রিলিজে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।”

তিনি টকশো সংস্কৃতির সমালোচনা করে বলেন, “অনেকেই টেলিভিশনে গিয়ে প্রকাশ্যে মিথ্যা বলেন। এমনকি মিথ্যা বললেই নাকি বেশি ‘মার্কেট’ পাওয়া যায়! টকশোতেও দেখা যাচ্ছে, মিথ্যা বলা ব্যক্তিকেই বারবার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। মাইলস্টোন থেকে শুরু করে সেন্টমার্টিন ও উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব—সব বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার চলছে। সেনাবাহিনী নিয়েও প্রতিনিয়ত অপপ্রচার করা হচ্ছে।”

পরে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে আইটিএস নেত্রকোণার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শফিকুল আলম। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সংস্কার দাবিতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। তিনি স্মারকলিপির বিষয়গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

মতবিনিময় শেষে শফিকুল আলম শহরের মোক্তারপাড়া ব্রিজসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/6484 ,   Print Date & Time: Wednesday, 26 November 2025, 09:15:26 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh