![]()
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। একদিকে জোটভুক্ত মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগির প্রতিশ্রুতি, অন্যদিকে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় বিএনপি এখন পর্যন্ত এসব আসন খালি রেখেছে।
৬৩টির মধ্যে ৩০টি মিত্রদের জন্য, ৩৩টি অভ্যন্তরীণ কারণে স্থগিত
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলের সূত্রে জানা যায়,
-
৩০টি আসন রাখা হয়েছে জোটভুক্ত ১২ দলীয় জোট, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ সহযোগী দলগুলোর জন্য।
-
বাকি ৩৩টি আসন আটকে আছে অভ্যন্তরীণ মনোনয়ন দ্বন্দ্ব ও প্রার্থী নির্বাচনের জটিলতায়।
স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন,
“আমরা মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের প্রার্থী তালিকা পাওয়ার পর বাকি আসনগুলোতে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।”
জোট সহযোগীদের জন্য খালি রাখা আসনগুলো
-
নাগরিক ঐক্য: বগুড়া–২ (মাহমুদুর রহমান মান্না)
-
গণঅধিকার পরিষদ: পটুয়াখালী–৩ (নুরুল হক নুর), ঝিনাইদহ–২ (রাশেদ খান)
-
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর): পিরোজপুর–১ (মোস্তফা জামাল হায়দার)
-
জাতীয় দল: কিশোরগঞ্জ–৫ (সৈয়দ এইসানুল হুদা)
-
এনডিএম: ঢাকা–১৩ (ববি হাজ্জাজ)
-
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি: ঢাকা–১৭ (আন্দালিভ রহমান পার্থ)
-
গণসংহতি আন্দোলন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ (জোনায়েদ সাকি)
-
এলডিপি: কুমিল্লা–৭ (রেদওয়ান আহমেদ)
এছাড়াও জোটের অংশীদারদের জন্য খালি রাখা হয়েছে:
হবিগঞ্জ–১, সুনামগঞ্জ–২, সুনামগঞ্জ–৪, সিলেট–৪, সিলেট–৫, লক্ষ্মীপুর–১, লক্ষ্মীপুর–৪, ঢাকা–৭, ৯, ১০, ১৮, ২০, নারায়ণগঞ্জ–৪, চট্টগ্রাম–১৪, ১৫, নড়াইল–২, যশোর–৫ ও ঝালকাঠি–১।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে স্থগিত ৩০টি আসন
মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়েছে—
-
ঠাকুরগাঁও–২: মির্জা ফয়সাল আমিন বনাম ডা. আব্দুস সালাম
-
নীলফামারী–১: শাহরিন ইসলাম তুহিন বনাম মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি
-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২: রুমিন ফারহানা বনাম জুনায়েদ আল হাবিব
এছাড়াও দিনাজপুর–৫, লালমনিরহাট–২, নাটোর–৩, সিরাজগঞ্জ–১, পাবনা–১, ঝিনাইদহ–১, খুলনা–১, পটুয়াখালী–২, টাঙ্গাইল–৫, কিশোরগঞ্জ–১, গাজীপুর–১, নরসিংদী–৩, রাজবাড়ী–২, ময়মনসিংহ–৪, চট্টগ্রাম–৬, ৯, ১১ ও কক্সবাজার–২ আসনেও একাধিক প্রার্থীর অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।
বগুড়ায় উল্লাসের জোয়ার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যথাক্রমে বগুড়া–৭ ও বগুড়া–৬ আসনে প্রার্থী করায় জেলা জুড়ে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।
গাবতলীর ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন,
“খালেদা জিয়া আবার আমাদের এলাকা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন—আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
জেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন,
“বগুড়ার প্রিয় সন্তান তারেক রহমান তরুণদের আশা ও ভবিষ্যতের প্রতীক। জনগণ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনকেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।”
মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক ফেসবুক পোস্টে বলেন,
“যারা মনোনয়ন পাননি, তারা হতাশ হবেন না। দলের প্রতি আস্থা রাখুন, সবার জন্য যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান নিশ্চিত করা হবে।”