![]()
ট্রেন ভ্রমণ দেবে চলন্ত হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা, এমনটাই মনে করেন আর্সেনালে গ্রুপের সিইও পাওলো বার্লেত্তা। প্রতিষ্ঠানটি এখন মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ দুই অর্থনীতি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিলাসবহুল রেল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আগামী বছর সৌদি আরবে চালু হবে ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট ট্রেন। অন্যদিকে ২০২৮ সালের মধ্যে আরব আমিরাতে চালু হবে ইতিহাদ রেল। পাওলো বার্লেত্তার মতে, এখন বিশ্বজুড়ে ধীর যাত্রার অভিজাত ভ্রমণের চাহিদা বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন কিছুটা অ্যানালগ হতে চায়, বিশেষ করে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে। এ চাহিদাই এখন দেখা যাচ্ছে। এতে তিনটি বিষয় খোঁজেন ভ্রমণকারীরা—নস্টালজিয়া, টেকসই ও বিচ্ছিন্নতার আবহ।’ বিলাসবহুল আতিথেয়তা খাতে সুনাম রয়েছে আর্সেনালে গ্রুপের। সারা বিশ্বে উচ্চমানের হোটেল পরিচালনার পাশাপাশি বিলাসবহুল রেল ক্রুজ তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর অন্যতম ইতালির লা দোলচে ভিতা ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম পাঁচতারা ট্রেন হিসেবে পরিচিত ড্রিম অব দ্য ডেজার্টে থাকছে ৩১টি প্রাইভেট স্যুইট ও দুটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট। এটি প্রতি যাত্রায় সর্বোচ্চ ৬৬ জন অতিথি বহন করতে পারবে। রিয়াদ থেকে শুরু করে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার রেললাইন ধরে ট্রেনটি সৌদি আরবের সবচেয়ে মনোরম অঞ্চলগুলোর মধ্য দিয়ে চলবে। ইতালিতে তৈরি বগিগুলোর অভ্যন্তরীণ নকশা করেছেন লেবানিজ স্থপতি আলিন আসমার দ’আম্মান। স্যুইটের পাশাপাশি ট্রেনটিতে থাকবে দুটি রেস্টুরেন্ট কার ও একটি মজলিস লাউঞ্জ। খোদাই করা কাঠের কারুকাজ, মরুভূমি থেকে অনুপ্রাণিত রঙ ও সৌদি ঐতিহ্যের উষ্ণ সোনালি ছোঁয়ায় সাজানো থাকছে পুরো ট্রেন। এ ট্রেন যাত্রায় এক রাতে খরচ পড়বে ৩-৫ হাজার ডলার। সৌদি আরব ও ইউএই ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে আর্সেনালে গ্রুপ। মিসরে নীল নদের তীরবর্তী অঞ্চলে চালু হবে তাদের বিলাসবহুল ট্রেন, যা ঐতিহ্যবাহী রিভার ক্রুজের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি আগামী বছর চালু হবে সমরখন্দ এক্সপ্রেস। এ ট্রেনে চড়ে ঘুরে দেখা যাবে উজবেকিস্তানের সিল্ক রোড। গত সেপ্টেম্বরে ট্রান্স-সাইবেরিয়ান অঞ্চলে রেল পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন ঈগল লাক্সারি ট্রেনস অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয় আর্সেনালে গ্রুপ। খবর ও ছবি দ্য ন্যাশনাল