
সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে, গণভোটের সময় ও বিষয়বস্তু নির্ধারণ এবং জুলাই জাতীয় সনদে (সংবিধান সংস্কার) বর্ণিত ভিন্নমতগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রদানের জন্য।
আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই সনদ ও এর বাস্তবায়ন বিষয়ক নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, গণভোট কবে হবে, বিষয়বস্তু কী হবে এবং সনদে বর্ণিত বিভিন্ন সংস্কারের বিষয়ে মতভেদের অবসান ঘটাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “এ ধরনের নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই, যা রাজনৈতিক দলসহ সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।”
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণ, গণভোট আয়োজন ও এর বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিশনের দীর্ঘ আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কার বিষয়ে ভিন্ন মত থাকায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় এ কথাও পুনর্ব্যক্ত করা হয় যে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এ বিষয়ে সরকারের সংকল্প অপরিবর্তিত।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।