![]()
সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, কল্যাণরাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে নবীন ও প্রবীণদের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। প্রবীণদের জীবনের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও বাস্তবতা এবং নবীনদের সৃজনশীলতার সমন্বয়ই ভবিষ্যতের কল্যাণ রাষ্ট্রের ভিত্তি গঠন করবে।
আজ শনিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পল্লীমা সংসদ কনফারেন্স হলে দিনব্যাপী ‘নবীন-প্রবীণ আন্তঃপ্রজন্ম মিলনমেলা-২০২৫’ উপলক্ষে নবীন-প্রবীণ আন্তঃপ্রজন্ম স্বনির্ভর ক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ঘরে, পরিবারে বা সমাজে যারা প্রবীণ তাদের সমস্যাগুলো বোঝা, সমাধান খোঁজা এবং পাশে দাঁড়ানো জরুরি। নবীন ও প্রবীণ দুই প্রজন্ম আলাদা নয়, বরং এক জীবনের দুই অধ্যায়। আজকের নবীন ভবিষ্যতে প্রবীণ হয়ে যাবে। তাই নবীন ও প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও সম্মিলিত উদ্যোগেই গড়ে উঠবে আগামীর কল্যাণরাষ্ট্র।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পরিচালক এম এম মাহমুদুল্লাহ, এবং বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান চপল। প্রবীণদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফজলুল কবির, আর নবীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি ও ছোঁয়া আনিকা আনজুম।
নবীন-প্রবীণ আন্তঃপ্রজন্ম স্বনির্ভর ক্লাবের মুখ্য উদ্যোক্তা ও আহ্বায়ক মু. হাফিজুর রহমান ময়না অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজ স্পর্শকাতর এবং এর পরিধি বিস্তৃত। এ মন্ত্রণালয় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবায় নিয়োজিত। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি অবকাঠামোগত পরিবর্তন ও নিজস্ব অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুশাসন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বয়স্ক ভাতা ৬১ লাখ এবং বিধবা ভাতা ৩৫ লাখে উন্নীত করা হয়েছে, এছাড়া সকল ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রবীণদের জন্য বিদেশি অর্থায়নে ৪০০টি ক্লাবের পাশাপাশি আরও ৬০০টি ক্লাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে তারা গল্প করতে, চা খেতে এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবে।
শারমীন এস মুরশিদ উল্লেখ করেন, প্রতিমাসে নবীন-প্রবীণদের মিলনমেলার আয়োজন হলে এক হাজার শিশু তাদের সৃজনশীলতা ও পরামর্শের মাধ্যমে অভিজ্ঞ প্রজন্মের সংস্পর্শে আসতে পারবে। দাদু-নানুদের জীবন আনন্দময় হয়, যখন শিশুদের সান্নিধ্যে তারা থাকেন। এছাড়া শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।