
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বিদেশ থেকে আনা মোবাইল ফোন নিবন্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত একটি আদর্শ প্রক্রিয়া।
শুক্রবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আনা মোবাইল অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে—এটি বিশ্বব্যাপী প্রচলিত একটি সাধারণ নিয়ম।
তৈয়্যব লেখেন, “মোবাইল নিবন্ধন শুধু প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সাইবার অপরাধ দমন—বহু বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।” তিনি উল্লেখ করেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া ভুল সিম ও এমএফএস নিবন্ধন, প্রতারণা, অনলাইন জুয়া, অবৈধভাবে ক্লোন করা মোবাইল, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ আমদানি ও চোরাচালান প্রতিরোধের পাশাপাশি স্থানীয় মোবাইল শিল্প সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, “আপনারা বিদেশ থেকে নিয়ম মেনে মোবাইল আনবেন এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করবেন।”
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারকারীদের হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে। ওই দিন থেকে অবৈধ ও ক্লোন করা ডিভাইস জাতীয় নেটওয়ার্কে নিষিদ্ধ করা হবে।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব আরও বলেন, নিজের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহারকারীদের কোনো সমস্যা হবে না, কারণ সিম ও হ্যান্ডসেট উভয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়া তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে।
তিনি জানান, প্রবাসীরা নিয়ম মেনে বিদেশ থেকে এক বা দুইটি মোবাইল বিনা শুল্কে আনতে পারবেন এবং সেগুলো নিবন্ধন করতে পারবেন। দুটির বেশি মোবাইল আনলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ম অনুযায়ী ফি পরিশোধ করতে হবে।
সাধারণ নাগরিকদের সুবিধার জন্য নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনের প্রক্রিয়া আরও সহজ করার পরামর্শও চান তিনি।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে জাতীয় সরঞ্জাম পরিচয় নিবন্ধন (NEIR) সিস্টেম। এর মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিম-সম্পর্কিত অপরাধ সহজে শনাক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী।
তিনি বলেন, এনইআইআর চালুর ফলে দেশের স্থানীয় মোবাইল নির্মাতারা আরও প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে বিদেশেও রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি হবে।
মোবাইল শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোও এনইআইআর বাস্তবায়নে সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।