• হোম > বাংলাদেশ > বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

  • মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২২:২৫
  • ৩৮

---

বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বৃহৎ প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০০৮ সালের পর এটিই হবে ইইউর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাদের মধ্যে কিছু পর্যবেক্ষক ভোটের ছয় সপ্তাহ আগে এবং বাকিরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।

তিনি বলেন, “২০০৮ সালের পর এই প্রথম ইইউ বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে।” পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগেও ইইউ সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।

প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচন প্রস্তুতি, বিচার বিভাগ ও শ্রম খাতের সংস্কার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কসহ সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই জাতীয় সনদকে “গুরুত্বপূর্ণ দলিল” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে। তিনি শ্রম আইন সংস্কার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদারে সরকারের পদক্ষেপগুলোকেও “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, “এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে ইইউ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”

রাষ্ট্রদূত মিলার আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের একটি বড় সুযোগ এবং ইইউ বাংলাদেশের এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির সম্ভাবনা, বিমান ও নৌপরিবহন খাতে সহযোগিতা এবং মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে যৌথ পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করে।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনালের উন্নয়ন ও পরিচালনায় বৈশ্বিক শিপিং কোম্পানি এ.পি. মোলার-মায়ার্সকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে। রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, ডেনমার্কের এই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে লালদিয়াকে আধুনিক টার্মিনালে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/6049 ,   Print Date & Time: Wednesday, 26 November 2025, 10:40:01 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh