![]()
‘নদী ও পরিবেশকর্মীদের মিলনমেলা’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নদী ও আশপাশের ধাঁধার চর পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে তিনি বলেন, “এখন তো সুপার মার্কেটে পলিথিন আর পাওয়া যাবে না। নদী দূষণকারীদের একজন-একজন করে ধরবেন, নাকি যারা নিয়মিত নদী দূষণ করছে তাদের সেন্ট্রাল ইটিপির আওতায় আনবেন, নাকি কয়েকজনকে বন্ধ করে দেবেন—এই সব অপশন নিয়েই কাজ করতে হবে। চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যতটুকু সম্ভব করা যাচ্ছে, আমরা সেটাই করছি।”
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ঢাকা শহরের চারটি নদী নিয়ে একটি প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে, এটি ডিসেম্বরে পাস হবে। “এই প্রকল্পে পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য আলাদা বাজেট, জনবল ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে তারা নজরদারি বাড়াতে পারে।”
পরিবেশ দূষণ রোধে সকলের সম্মিলিত দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “শুধু শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না। পয়োবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও এখনো কার্যকর হয়নি। এসব সমন্বিতভাবে করলে নদীগুলোকে বাঁচানো সম্ভব।”
তিনি পরিবেশবাদীদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতার কথাও বলেন, “পরিবেশবাদীরা যে কাজ করছে, তা আমাকে সাহায্য করছে। আমি আমার দায়িত্বের মাধ্যমে যতটা পারি তাদের সহায়তা করব। আমরা একে অপরের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইডেন দূতাবাসের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান নায়োকা মার্টিনেস বেক্সস্ট্রম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রমুখ।