• হোম > রাজনীতি > বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে ফয়জুল করিম

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে ফয়জুল করিম

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৫
  • ৬৬

---

কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা ও আইনজীবী ফয়জুল করিম। এক সময়ের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ও জেলা বিএনপির সদস্য এই রাজনীতিক হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগে যোগদানের। বুধবার (২২ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক লাইভ ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন,

“শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”

২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের সেই ভিডিও বার্তায় ফয়জুল করিম বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি মনে করছেন—“শেখ হাসিনার নেতৃত্বই জাতির স্থিতিশীলতার প্রতীক”। তিনি আরও বলেন,

“আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন সময় এসেছে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।”

ফয়জুল করিম কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জিয়াউর রহমান সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ফজলুর করিমের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—জেলা বিএনপির উপদপ্তর সম্পাদক, পৌর বিএনপির সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তবে গত ২০ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের পর পুরনো কমিটি বিলুপ্ত হয়। তখন থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় বলে জানা গেছে।

ভিডিও বার্তায় ফয়জুল করিম আরও বলেন,

“৫ আগস্টের পর থেকে দেশে রাষ্ট্র সংস্কারের নামে কিছু লোক সম্পদ ভোগের রাজনীতি করছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।”

তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, বরং “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতার একমাত্র ভরসা”।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “বিএনপিতে এখন ফয়জুল করিমের কোনো পদ নেই। তাঁর কথাবার্তাও এখন সঙ্গত নয়। তাঁর আওয়ামী লীগে যোগদানেরও কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই।”

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করছেন, এই যোগদান দলীয়ভাবে প্রতীকী হলেও রাজনৈতিক বার্তাটি গুরুত্বপূর্ণ—বিশেষ করে বিএনপির পুরনো প্রজন্মের অনেকের মানসিক অবস্থান বোঝার ক্ষেত্রে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফয়জুল করিমের মতো সাবেক বিএনপি নেতাদের আওয়ামী লীগে যোগদান দেশের রাজনীতিতে “মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের” ইঙ্গিত দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও অন্তর্বর্তী সরকারের বিতর্কের পর সাধারণ মানুষের মাঝে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে, তা অনেকের ভাবনাকে পুনর্গঠিত করছে।

দেশের রাজনীতি এখন যেন এক মোড়ে দাঁড়িয়ে—যেখানে দল নয়, বরং নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতাই মানুষের বড় আশ্রয় হয়ে উঠছে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/5836 ,   Print Date & Time: Wednesday, 26 November 2025, 09:23:38 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh