বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, “আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, দলগতভাবে এটিই আমাদের সবার অবস্থান। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “এই ঘটনাটি কেন ঘটেছে, আমি জানি না। তবে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গুলশানের এই কার্যালয়টি সবসময় উন্মুক্ত ছিল। এখানে রাজনীতিক, সাধারণ মানুষ, এমনকি সাংবাদিকরাও নিয়মিত আসতেন। গণমাধ্যম আমাদের সহযাত্রী—এটা আমাদের দীর্ঘদিনের বিশ্বাস।”
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, “রাজনীতি ও গণমাধ্যম পরস্পরের হাত ধরে এগিয়ে চলে। শেখ হাসিনার সময়ও বিএনপি অফিসে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং হতো, সেখান থেকেই জনগণ পরিস্থিতি জানতে পারত। সেই জায়গা থেকে আজকের এই ঘটনার জন্য আমরা সবাই দুঃখিত ও লজ্জিত।”
তিনি জানান, “আমরা প্রত্যাশা করি, এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না।”
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পরাজয় প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, “ছাত্রদল কখনো ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে মিশে ক্যাম্পাস দখল করতে যায়নি। তাই তারা পিছিয়ে থাকলেও, সেটা নীতির জায়গা থেকে গর্বের বিষয়। যারা গিরগিটির মতো রং বদলায়, তারাই টিকে থাকে। কিন্তু আমরা নীতিতে অটল।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “৫ আগস্টের পর যখন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দলীয় পরিচয়ে ক্যাম্পাসে ফিরেছে, তখন তাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে। বিপরীতে শিবির ভিন্ন নামে রাজনীতি করে আধিপত্য বজায় রাখতে পেরেছে এবং তারাও এ সুবিধা ভোগ করছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির এই দুঃখ প্রকাশ গণমাধ্যম ও রাজনীতির সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করছে।