• হোম > বিদেশ > গাজায় আবারও ক্লাসে ফিরছে তিন লাখ শিশু

গাজায় আবারও ক্লাসে ফিরছে তিন লাখ শিশু

  • মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৫
  • ৫১

---

দীর্ঘ দুই বছরের যুদ্ধবিধ্বস্ত জীবনের পর অবশেষে গাজার শিশুরা আবারও স্কুলে ফিরছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, শনিবার থেকে প্রায় তিন লাখ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী আবারও ক্লাসে যাওয়া শুরু করেছে।

যুদ্ধ, ধ্বংস আর অবরোধের এই সময়েও শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে রাখতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থার মিডিয়া উপদেষ্টা আদনান আবু হাসনা জানান, “আমরা তিন লাখ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছি, এবং এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।”

প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী সরাসরি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে ক্লাসে অংশ নিচ্ছে, বাকিরা অংশ নিচ্ছে দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে। এ প্রোগ্রামে আট হাজার শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন, যাঁরা যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে শিক্ষা ফিরিয়ে আনতে লড়ছেন নিরব নায়কের মতো।

গাজার শিক্ষা ব্যবস্থার পতন শুরু হয় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর, ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর। যুদ্ধের আগে করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুলগুলো। এখন অনেক স্কুলই ধ্বংস হয়ে গেছে বা শরণার্থী শিবিরে রূপান্তরিত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ১৭২টি সরকারি স্কুল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, ১১৮টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত, এবং ১০০টিরও বেশি ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলায় ১৭,৭১১ শিক্ষার্থী নিহত, ২৫,৮৯৭ জন আহত, এবং ৭৬৩ জন শিক্ষক-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, তারা গাজায় ২২টি কেন্দ্রীয় ক্লিনিক পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি খাদ্য বিতরণের জন্য কয়েক ডজন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। তবে মানবিক সরবরাহ এখনো ইসরায়েলি সীমান্তে আটকে আছে।

আদনান আবু হাসনা বলেন, “গাজার মানুষ এখন বেঁচে থাকার লড়াই করছে। আশ্রয়, পোশাক, ওষুধ—কিছুই পর্যাপ্ত নয়। গাজার ৯৫ শতাংশ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।”

তিনি আরও জানান, শত শত হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করছে। দুই বছরের আগ্রাসনে গাজায় ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপে ভরে গেছে শহর, কিন্তু গাজার শিশুরা এখনো খাতায় কলমে ভবিষ্যতের স্বপ্ন আঁকছে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/5754 ,   Print Date & Time: Wednesday, 26 November 2025, 07:30:58 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh