সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কাস্টমস হাউজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি প্রদান করে।
এর ফলে খুলনা কাস্টমস হাউসের পরিবর্তে এখন থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে নবগঠিত ভোমরা কাস্টমস হাউজের অধীনে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে।
ভোমরা কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু মুছা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,
“অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ভোমরা স্থলবন্দরকে কাস্টমস হাউজ ঘোষণার মাধ্যমে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পেল। আমরা সরকারের এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।”
তারা আরও বলেন, “ভোমরা দেশের অন্যতম ব্যস্ততম স্থলবন্দর। প্রতিদিন এই বন্দরের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালিত হয়। কাস্টমস হাউজে উন্নীত হওয়ার ফলে প্রশাসনিক সক্ষমতা, জনবল বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়ন হবে—যা ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল।”
‘কাস্টমস হাউজ’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এখন থেকে ভোমরায় পূর্ণাঙ্গ রাজস্ব প্রশাসন, শুল্ক নির্ধারণ, আমদানি-রপ্তানি নথি যাচাই ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার সব কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে সম্পন্ন করা যাবে। এতে সময়, খরচ ও প্রশাসনিক জটিলতা কমবে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়।
বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, পোশাক ও কসমেটিকসসহ নানা পণ্য আমদানি হয়। অপরদিকে, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় কৃষিপণ্য, মাছ ও বিভিন্ন শিল্পজাত দ্রব্য।