ব্যস্ত ও কোলাহলপূর্ণ রাজধানী ঢাকায় এমন একটি এলাকা আছে, যেখানে মানুষ খুঁজে পায় নিরাপত্তা, শান্তি ও আধুনিক জীবনযাপনের পূর্ণ স্বাদ—সেই নাম বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।
নগরজীবনের পরিকল্পিত রূপ, নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং জীবনমানের উৎকর্ষ—সব মিলিয়ে বসুন্ধরা এখন হয়ে উঠেছে রাজধানীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ আবাসিক অঞ্চল।
সর্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এলাকার প্রতিটি প্রবেশপথে রয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তাকর্মীদের টহল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংবলিত সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি এবং একাধিক চেকপোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে সার্বিক নিরাপত্তা।
নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, শতাধিক উচ্চ রেজল্যুশনের ক্যামেরা প্রতিটি রাস্তা ও প্রবেশপথে সক্রিয় রয়েছে, যা গাড়ির নম্বর প্লেট পর্যন্ত স্পষ্টভাবে ধারণ করতে সক্ষম। কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুমে সিগন্যাল পাঠানো হয়।
বসুন্ধরার ১৪টি গেটওয়ের প্রতিটিতেই নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা প্রহরী থাকেন। এছাড়া এখানে রয়েছে নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, যারা যে কোনো দুর্ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী
বসুন্ধরায় রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী, যারা তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন। বাসিন্দারা প্রয়োজনে কল দিলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
তাদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, এবং প্রতিটি শিফটে একজন ইনচার্জ দায়িত্বে থাকেন।
যোগাযোগের জন্য রয়েছে দুটি হটলাইন—
???? সিকিউরিটি কন্ট্রোল রুম: +৮৮ ০১৭২২২২২৩২৭
???? ডিউটি অফিসার: +৮৮ ০১৭৬৬৬৯৪৬৭২
নারীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক
এই এলাকার কঠোর নিরাপত্তার কারণে নারী ও শিশুরা রাতের যেকোনো সময় নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারেন। রাস্তায় হাঁটাচলা বা বিনোদনমূলক আড্ডা—সবই হয় নিশ্চিন্ত পরিবেশে।
সিকিউরিটি টিমের মোটরসাইকেল ও গাড়ি টহল ব্যবস্থায় কেউ ডিস্টার্ব বা অসদাচরণ করার সুযোগ পায় না।
নতুন থানার উদ্যোগ
বর্তমানে বসুন্ধরা এলাকা ডিএমপির ভাটারা, বাড্ডা ও খিলক্ষেত থানার আওতায় থাকলেও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে স্বতন্ত্র একটি থানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করেন, এটি চালু হলে নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে এবং এলাকায় সম্পত্তির মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।
অপরাধমুক্ত আবাসিক এলাকা
সরকার অনুমোদিত এই আবাসিক এলাকাটিতে নেই কোনো চুরি, ছিনতাই, মাস্তানি বা চাঁদাবাজি।
বসুন্ধরার নিজস্ব সিকিউরিটি সিস্টেম ও এআই-নির্ভর ক্যামেরা ব্যবস্থার কারণে অপরাধীরা চিহ্নিত হয় দ্রুত, এবং আইনের আওতায় আসে তৎক্ষণাৎ।
চোরের ছবি ও তথ্য ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে, ফলে পুনরায় প্রবেশের চেষ্টা করলে সিস্টেম তা শনাক্ত করে কন্ট্রোল রুমে সতর্কবার্তা পাঠায়।
এখানে ভিক্ষুক, হকার ও হিজরাদের অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ, এবং অনুমোদিত রিকশা চালকরাই কেবল চলাচল করতে পারে, যাদের প্রত্যেকের নির্দিষ্ট অ্যাপ্রন ও নম্বর রয়েছে।
বসুন্ধরার তত্ত্বাবধান ও প্রশাসনিক মন্তব্য
বসুন্ধরা গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) মো. মাহবুবুল ওয়াদুদ বলেন—
“বসুন্ধরার নিরাপত্তা অন্য যেকোনো এলাকার তুলনায় শক্তিশালী, কারণ এখানে কেউ অপরাধ করে পার পায় না। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মালিকপক্ষের সরাসরি তত্ত্বাবধান থাকায় এখানকার নিরাপত্তা সবার শীর্ষ অগ্রাধিকার।”
ভাটারা থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলেন—
“বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত উন্নত। চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা আমরা প্রায় শুনিই না। বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব নিরাপত্তা টিম ও পুলিশের টহল একসঙ্গে কাজ করছে—এটাই নিরাপত্তার মূল শক্তি।”
বসুন্ধরা: পরিকল্পিত নগর জীবনের প্রতীক
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা শুধু বাসস্থান নয়, এটি একটি পরিকল্পিত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক নগরজীবনের প্রতীক।
এখানে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিনোদন, ব্যবসা, ধর্মীয় ও সামাজিক সুবিধাসহ সবকিছু—যা একজন নাগরিকের জন্য আদর্শ জীবনযাপনের নিশ্চয়তা দেয়।