
ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় সংক্রান্ত পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার পশ্চিম জেরুজালেমে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও সাবেক উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে এবং হামাস ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মি মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে ইসরাইল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে, পাশাপাশি গাজা থেকে ১,৭০০ জন বন্দীর মুক্তির ব্যবস্থাও থাকবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইলি সেনারা গাজার প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা পর্যন্ত সীমিত থাকবে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, যুদ্ধবিরতি অনুমোদনের পরও গাজার কিছু এলাকায় বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ২০ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানিবাহী শত শত ত্রাণ ট্রাক পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির পথে আছি।” তবে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গাজার বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণ চলছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স গাজাবাসীদের ইসরাইলি বাহিনীর অবস্থান এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং সতর্ক করেছে যে সৈন্য প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় যাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
আল-সাবরা, তাল আল-হাওয়া ও খান ইউনিসের আশপাশে আজ সকালে গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে এখনো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যাচ্ছে।