গাজাগামী নৌবহরে ওঠার পর ইসরাইল কর্তৃক আটক চার কট্টর বামপন্থী ফরাসি ডেপুটি অনশন ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন বলে তাদের দল জানিয়েছে।
প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, ফরাসি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ম্যানন অব্রি রবিবার ফ্রান্সইনফো রেডিওকে বলেন, “তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় এবং ফরাসি কনসালের সঙ্গে অল্প সময়ের সাক্ষাৎ ছাড়া আমরা তাদের বিষয়ে আর কোনো তথ্য পাইনি।”
ফ্রান্স আনবোউড দল শনিবার জানিয়েছে, আটক অবস্থার পরিবেশ অত্যন্ত কঠিন—প্রতি কক্ষে ১০ জনেরও বেশি মানুষ, খাবার ও পানির সংকট রয়েছে। দলের দুই জাতীয় ডেপুটি ফ্রাঁসোয়া পিকেমাল ও মেরি মেসমিয়ার এবং দুই ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসান ও এমা ফোরেউ ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছেন।
অব্রি ফরাসি সরকারের কাছে দ্রুত তাদের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর আহ্বান জানান।
জানা গেছে, গাজার ওপর ইসরাইলের অবরোধ ভাঙতে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাওয়া ৪৫টি জাহাজের ‘গ্লোবাল সুমুদ’ ফ্লোটিলাকে আটক করার পর ইসরাইল ৩০ জন ফরাসি নাগরিককে আটক করেছে।
ফ্রান্স আনবোউড দলের জাতীয় সমন্বয়কারী ম্যানুয়েল বোম্পার্ড ফরাসি টেলিভিশন এলসিআই-তে বলেন, “ফ্রান্সের এখন স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার সময় এসেছে।” দলের নেতা জ্যাঁ-লুক মেলাঞ্চন সরকারকে “কাপুরুষ” আখ্যা দিয়ে বলেন, “অন্য দেশের নাগরিকদের ইতোমধ্যেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, অথচ ফ্রান্স এখনো নীরব।”
অন্যদিকে, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান ইউরোপীয় সংসদ সদস্য নাথালি লুইসো বলেন, “ফ্রান্স যা করা প্রয়োজন, তা করছে এবং আটক নাগরিকদের কনস্যুলার সুরক্ষা দিচ্ছে।” তিনি নৌবহরে ফ্রান্স আনবোউডের সম্পৃক্ততাকে “বিব্রতকর” বলে অভিহিত করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, “এটি কি সত্যিই ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ তুলে ধরার প্রয়াস, নাকি আত্মপ্রচারের উদ্দেশ্য?”