তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনক স্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছে, বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে
কয়েকদিন ধরে অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় সমান হয়ে গেছে। এতে লালমনিরহাটসহ তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করেছে এবং তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো ৪৪টি জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির স্তর বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও দুপুর নাগাদ তা দ্রুত বেড়ে ১৫ সেন্টিমিটার নিচে পৌঁছে যায়। বিকেল ৩টার মধ্যে পানির উচ্চতা বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচে ওঠে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ৫ থেকে ৬ অক্টোবরের মধ্যে দেশে এবং উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, নদীর পানি যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এজন্য তীরবর্তী বাসিন্দাদের আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, নদীপাড়ে ধান, বাদাম ও শাকসবজি চাষাবাদ চলছে। পানি তিন-চার দিন স্থায়ী হলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে, তবে দ্রুত নামলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কৃষকদের ক্ষতি কমাতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।