মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৫ সালের মানবপাচার (ট্রাফিকিং ইন পারসন্স–টিআইপি) প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্তরে স্থান দেওয়া হয়েছে। এটি মানবপাচার মোকাবিলায় বাংলাদেশের টেকসই অগ্রগতির একটি স্বীকৃতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখনো সর্বনিম্ন মানদণ্ড পূরণে পুরোপুরি সক্ষম না হলেও আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভুক্তভোগী সনাক্তকরণ, সুরক্ষা সেবা বৃদ্ধি, সম্মুখ সারির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ এবং ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম চালুর বিষয়টি প্রশংসিত হয়েছে।
২০২৪ সালে সরকার ১,৪৬২ জন পাচারের শিকারকে শনাক্ত করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি। শনাক্তদের মধ্যে যৌনকর্মে জোরপূর্বক নিযুক্ত, জবরদস্তি শ্রমে নিয়োজিত এবং অন্যান্যভাবে শিকার হওয়া মানুষ রয়েছে। তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা ও আশ্রয়কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাচারবিরোধী কার্যক্রমে বরাদ্দ বাড়িয়েছে এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ চালু করেছে, যার মধ্যে নারী গৃহকর্মীদের জন্য ৩০ দিনের কোর্সও রয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করেছে—ইন্টারপোল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথ তদন্ত এবং সমঝোতা চুক্তি কার্যকর করছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পাচারবিরোধী সমন্বয়ও এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদন বলছে, এসব উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে তুলে ধরে এবং অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা, ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার ও মানবপাচার রোধে কাঠামোগত অগ্রগতির প্রমাণ দেয়।