• হোম > বাংলাদেশ > ‘কমিউনিটি ভিত্তিক পর্যটন গাইডলাইন-২০২৫’ প্রকাশ

‘কমিউনিটি ভিত্তিক পর্যটন গাইডলাইন-২০২৫’ প্রকাশ

  • শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪৯
  • ৪১

---

বাংলাদেশের পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ‘কমিউনিটি ভিত্তিক পর্যটন গাইডলাইন-২০২৫’ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ গাইডলাইনে বলা হয়েছে, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে পর্যটনের মূলধারায় সম্পৃক্ত না করলে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই নয়, বরং প্রাকৃতিক সম্পদ, সামাজিক মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়, কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটন স্থানীয় জনগণের জন্য টেকসই জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে পারে। এটি পর্যটনের নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করবে এবং প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নত করবে।

বিশ্বের অনেক দেশ ইতোমধ্যেই কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটনকে কর্মসংস্থানের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্য ৮, ১১ ও ১২ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বাংলাদেশ এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী মডেল হিসেবে গ্রহণ করেছে।

গাইডলাইনের মূল উদ্দেশ্য ও কাঠামো
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানগুলোয় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে নতুন বাজার সৃষ্টি, উন্নয়ন, বিপণন ও প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে—

  • সম্ভাব্য স্থান ও আগ্রহী পরিবার চিহ্নিতকরণ

  • বাজার সম্ভাবনা নিরূপণ

  • স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সেবার মানদণ্ড নির্ধারণ

  • প্রভাব নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সুরক্ষা

  • জাতীয় কমিউনিটি পর্যটন স্টিয়ারিং কমিটি ও জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি গঠন

  • প্রচারণা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও আন্তর্জাতিক সংযোগ

  • অর্থায়ন ও বাজেট প্রণয়ন

পরিবেশ সুরক্ষার ওপর জোর
গাইডলাইনে সতর্ক করা হয়েছে যে, জনপ্রিয় পর্যটন স্থানে অতিব্যবহারের ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বৈচিত্র্যময় স্থানীয় জীবনধারাকে পর্যটনের আওতায় এনে টেকসই মডেল গড়ে তোলা জরুরি।

বিশেষজ্ঞ মত
পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ গাইডলাইন শুধু পর্যটনশিল্প নয়, গ্রামীণ অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে। স্থানীয় মানুষকে সরাসরি সম্পৃক্ত করার ফলে তাদের আয় বাড়বে, ঐতিহ্য সংরক্ষিত হবে এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি হবে।

মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই গাইডলাইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যটনের মূল উপকারভোগী হবে এবং দেশের অর্থনীতি আরও বহুমুখী রূপ পাবে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/5208 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 06:16:45 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh