• হোম > বিদেশ > গাজামুখী ফ্লোটিলার কর্মীদের ‘সন্ত্রাসী’ বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

গাজামুখী ফ্লোটিলার কর্মীদের ‘সন্ত্রাসী’ বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

  • শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৫
  • ৩৯

---

গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর থেকে আটক শত শত আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীকে মেঝেতে বসিয়ে ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দরে বসে থাকা মানবাধিকারকর্মীদের উদ্দেশে তিনি তীব্র ভর্ৎসনা করছেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে। ভিডিওর অনানুষ্ঠানিক অনুবাদ অনুযায়ী, বেন-গভির দাবি করেন, আটক হওয়া ফ্লোটিলার জাহাজগুলো “খালি” পাওয়া গেছে এবং সেগুলো কোনো মানবিক সহায়তা বহন করছিল না। তিনি কটাক্ষ করে বলেন,

“তারা আসলে গাজার জনগণের জন্য সাহায্য নিয়ে আসেনি। তারা এসেছে সন্ত্রাসীদের জন্য। এরা সন্ত্রাসী।”

এই বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ফ্লোটিলা অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। অথচ অধিকারকর্মীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতির পরিপন্থী।


শেষ আশার নাম ‘দ্য ম্যারিনেট’

এদিকে, বহরের শেষ জাহাজ ‘দ্য ম্যারিনেট’ এখনো গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টা) পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী পোলিশ পতাকাবাহী এই ইয়টটিকে আটক করতে পারেনি।

একটি লাইভ ভিডিও ফিডে দেখা গেছে, সূর্যোদয়ের আলো ফুঁড়ে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা পাড়ি দিচ্ছে জাহাজটি। ফ্লোটিলার জিও ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, তখন নৌযানটি গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে প্রায় ৪৮ নটিক্যাল মাইল (৮৮ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিল।

জাহাজটিতে রয়েছেন মোট ছয়জন আরোহী, যাদের মধ্যে তুরস্কের মানবাধিকারকর্মী সিনান আকিলতু অন্যতম। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় জাহাজটির ক্যাপ্টেন জানান, ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে কিছুক্ষণ দেরি হলেও তা সমাধান হয়েছে, এবং এখন তারা সরাসরি গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।


মানবিক সংকট ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী ও সাধারণ মানুষ ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে “জলদস্যুতার শামিল” বলে নিন্দা জানাচ্ছেন। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ ও গ্রিসে ফ্লোটিলা আটকানোর প্রতিবাদে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে ফ্লোটিলা অভিযানের অর্থ ছিল সহমর্মিতা ও সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার প্রতীক। অথচ এখনো শেষ জাহাজটিকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা ইসরায়েলের মানবিক সংকটকে আরও গভীর করবে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/5204 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 12:24:35 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh