• হোম > বিচার বিভাগ > মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

  • মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৪
  • ২৫

---

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে ছাত্র–জনতার জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

আজ (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এ মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর সাক্ষ্য দিচ্ছেন।


আদালতের কার্যক্রম

  • ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম।

  • আসামিপক্ষের মধ্যে পলাতক শেখ হাসিনা ও কামালের হয়ে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন উপস্থিত আছেন।

  • গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।


গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য

শেষ সাক্ষী তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন:

  • জুলাই আন্দোলনের সময়কার বিভিন্ন নথি ও তথ্য।

  • যমুনা টেলিভিশনের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদন আদালতে প্রদর্শন।

  • ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে ভয়াবহ চিত্র।

  • ছাত্র–জনতার ওপর ৩ লাখ ৫ হাজার গুলি ছোড়া হয়েছিল বলে প্রমাণ উপস্থাপন।

এর আগে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন:

  • শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা।

  • স্টার উইটনেস নাহিদ ইসলাম (জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক, জুলাই আন্দোলনের নেতা)।

  • সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমান (দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক)।


অভিযোগের প্রেক্ষাপট

গত বছরের জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থান দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার এবং প্রশাসনের একটি অংশ গণহত্যা, গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যেই অভিযোগ গঠন করেছে এবং এই মামলার পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা চলছে—

  1. আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে গুম–খুনের দায়ে দায়ের হওয়া মামলা।

  2. ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড নিয়ে দায়ের হওয়া মামলা।


রাজসাক্ষী হওয়া

এই মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন মঞ্জুর করে এবং তিনি ইতিমধ্যেই আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।


সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা অবস্থায় একজন প্রধানমন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু হওয়া দেশটির বিচারব্যবস্থায় নজিরবিহীন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/5122 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 05:38:50 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh