ঢাকা: চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিসহ চারজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন—
-
আবু সুফিয়ান
-
আব্দুর রহমান ওরফে মানিক
-
হাবিবুর রহমান ফরহাদ
অন্যদিকে আরেক আসামি শাহিন হোসেনকে প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কী হয়েছিল বসিলায়?
গত রবিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে নিজেদের “সমন্বয়ক” পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করেন রাব্বিসহ কয়েকজন। বিষয়টি টের পেয়ে ক্লিনিকের মালিক সরাসরি সেনাবাহিনীকে ফোন করলে দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড
এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে ১৯ মে রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বাসা ঘেরাও করে। বাসার দারোয়ানকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।
তখন ৯৯৯-এ কল করে অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ রাব্বিসহ কয়েকজনকে আটক করে। পরদিন আন্দোলনের নেতা হান্নান মাসুদ ধানমন্ডি থানায় গিয়ে মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সে সময় রমনা বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন—তারা ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না বলে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।
কিন্তু কয়েক মাস না যেতেই ফের চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলো একই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে বলছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্দোলনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করছে।
মানবাধিকার কর্মীরা মনে করছেন, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রবণতা রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, বারবার ধরা পড়লেও প্রভাবশালী পরিচয়ের কারণে তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসছে—যা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।