এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য মৌলিক অবকাঠামো ও জরুরি সেবা সম্প্রসারণে ৫৮.৬ মিলিয়ন ডলারের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এডিএফ) অনুদান এবং ২৮.১ মিলিয়ন ডলারের স্বল্প সুদের ঋণের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ঢাকায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পক্ষে সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং স্বাক্ষর করেন।
প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার ও ভাসান চরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের জন্য পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, সড়ক, সেতু, ড্রেনেজ, খাদ্য নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ ও দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া সোলার-স্ট্রিটলাইট, বায়োগ্যাস উৎপাদন, বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার এবং ক্ষুদ্র পাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, “মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয়দের স্থিতিশীলতা ও জীবিকা উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি করা আমাদের লক্ষ্য।”
২০১৮ সাল থেকে এডিবি বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য মোট ১৭১.৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান ও ঋণ দিয়েছে।
বর্তমানে কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ নারী ও শিশু। নোয়াখালীর ভাসান চরে ৩৬ হাজারেরও বেশি শরণার্থী স্থানান্তরিত হয়েছে।
এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৬৯টি সদস্য দেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করে।