রাজধানীর উত্তরা থেকে উত্তরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে. এম. মামুনুর রশিদ ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবার, রাজনৈতিক মহল ও নাগরিক সমাজে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ দাবি করেন। তিনি লেখেন—
“গত ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উত্তরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে. এম. মামুনুর রশিদ রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। বিষয়টি একই সঙ্গে চরম উদ্বেগজনক ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।”
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের ঘটনা সম্ভবত প্রথম। তিনি বলেন—
“একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র যেখানে ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর চরম গাফিলতি স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমের নীরবতা নতুন করে রাজনীতিতে পুরনো ভয়ের সংস্কৃতি ও নিপীড়নের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আশঙ্কা তৈরি করছে।
মানবিক দৃষ্টিকোণ
একজন তরুণ রাজনৈতিক কর্মীর আকস্মিক নিখোঁজ হওয়া শুধু একটি পরিবারের দুঃখই নয়, বরং সমাজের জন্যও এক গভীর সংকেত। পরিবার প্রতিটি মুহূর্তে অপেক্ষা করছে প্রিয়জনের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের; আর রাজনৈতিক অঙ্গন শঙ্কিত ভবিষ্যতের পরিণতি নিয়ে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় এই ধরনের নিখোঁজের ঘটনা মানবাধিকারের মৌলিক প্রশ্নকে সামনে নিয়ে আসে। রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতিটি নিখোঁজ মানুষের সঙ্গে একটি পরিবারের স্বপ্ন, আশা আর জীবনের আলো জড়িয়ে থাকে।
উপসংহার
মামুনুর রশিদের খোঁজ দ্রুত পাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তার স্বজনরা, সহকর্মীরা এবং সাধারণ নাগরিকেরা। বিষয়টির স্বচ্ছ তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে এটি শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো সমাজকেই অনিশ্চয়তা ও ভয়ের মধ্যে ঠেলে দেবে।