তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (TMS) বিভাগের আয়োজনে আজ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘টিএমএস শর্ট ফিল্ম স্ক্রিনিং ২০২৫’। সকাল ১১টায় কলেজের ১ নম্বর অডিটোরিয়ামে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভাগের দশজন শিক্ষার্থীর নির্মিত দশটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মো. মোখলেস উর রহমান। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শামীমা ইয়ামিন।
শর্ট ফিল্ম স্ক্রিনিং-এ যে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়, সেগুলো সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের মৌলিক ভাবনা, রচনা, নির্দেশনা, অভিনয় ও সম্পাদনায় তৈরি। প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর নাম ও নির্মাতা হলেন:
- হারমোনিকা – শেখ সায়েম হোসেন
- হোয়াই? – শাহাদৎ হোসেন তন্ময়
- বোঝা – মো. ইবনে সাকিব
- স্মাইল – সানজিদা আক্তার
- অপেক্ষা – সাজিদ হোসেন
- ডিসিশন – মো. জাহিদুল ইসলাম
- সাইকোসিন্ড্রোম – এম সাইফুর রহমান
- লেট মি ইন – ইয়াসির আদনান অদ্রি ও ফজলে রাব্বি মুন্না
- মার্ডার – মো. নয়ন ইসলাম লিংকন
- ইন্টারোগেশন – মাশরাফি সজিব
থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান নওরীন সাজ্জাদ বৃষ্টি বলেন,
“তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে ‘TMS Short Film Screening 2025’–এ শিক্ষার্থীদের নির্মিত দশটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। প্রত্যেকটি চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের নিজেদের লেখা, পরিচালনা, অভিনয় ও সম্পাদনায় নির্মিত। আমরা চাই এই আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতাকে আরও উৎসাহিত করতে, নতুন ভাবনা ও জীবনবোধ দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে।”
তিনি আরও বলেন,
“এই আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীমা ইয়াসমিন ম্যামকে আন্তরিক ধন্যবাদ। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সহযোগী ‘লার্নিং ডিজাইন স্টুডিও’ এবং মিডিয়া পার্টনার ‘চ্যানেল ২৪’-কে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করতে পারবো বলেই আমরা আশাবাদী।”
এই আয়োজন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের তৈরি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সুযোগ নয় — এটি ছিল তরুণ নির্মাতাদের আত্মপ্রকাশের এক মঞ্চ, যেখানে তারা তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, গল্প বলার ধরন এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা জানান, শর্ট ফিল্মগুলো ছিল ভাবনাসম্পন্ন, ভিন্নধর্মী ও প্রাসঙ্গিক। অনেকেই আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে তরুণ নির্মাতাদের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
টিএমএস শর্ট ফিল্ম স্ক্রিনিং ২০২৫ প্রমাণ করেছে—তরুণরাই পারে নতুন ভাবনা, প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃষ্টিশীলতার আলো জ্বালাতে। এ ধরনের উদ্যোগ যেন শুধু কলেজ পর্যায়েই নয়, বরং সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, সেই প্রত্যাশা সবার।
ছবি ও তথ্য সহযোগিতা: TMS Department