• হোম > বাংলাদেশ > ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝড়, আতঙ্কে বাংলাদেশ

ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝড়, আতঙ্কে বাংলাদেশ

  • মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪০
  • ৪১

---

বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে, আর চিকিৎসকদের জন্য এই চাপ সামলানো হয়ে উঠছে কঠিন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন—
“অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন।”

তরুণ ও শিশুদের ঝুঁকি বাড়ছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে। অনেকেই জ্বর শুরুর ছয়–সাত দিন পর চিকিৎসা নিতে আসছেন, যা ইতিমধ্যে জটিলতা তৈরি করে দিচ্ছে। শিশুদের মধ্যেও মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে, যা পরিবারগুলোকে আরও ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলছে।

সংখ্যার হিসাব, বাস্তবের বেদনা

যদিও গত বছরের তুলনায় এ বছর সংক্রমণ বেড়েছে, কিন্তু সামগ্রিক মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম। তবু গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়া রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ কারণে হাসপাতালগুলোতে একদিকে শয্যা সংকট, অন্যদিকে চিকিৎসক-নার্সদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

চিকিৎসা পেতে দেরি = জীবনহানি

ডা. আবু জাফর বলেন—
“কারো জ্বর হলে অবিলম্বে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত। দেরিতে শনাক্ত হলে জটিলতা দেখা দেয় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।”

তাঁর মতে, শুধু সরকারি উদ্যোগে এই প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা সম্ভব নয়; এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা, সতর্কতা এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ।

বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মইনুল হাসান জানান, প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীকে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখতে বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মানবিক বাস্তবতা

ডেঙ্গু এখন শুধু একটি স্বাস্থ্য সংকট নয়—এটি প্রতিটি পরিবারকে ছুঁয়ে যাওয়া মানবিক বিপর্যয়। শহর থেকে গ্রাম, ধনী থেকে গরিব—সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

  • অনেক বাবা-মা সন্তানদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন, আবার সন্তানরাই মায়ের শয্যার পাশে সারারাত জেগে থাকছে।

  • তরুণরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে অল্প বয়সেই।

  • স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন বাজি রেখে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

ডেঙ্গু মোকাবিলা আজ শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থার লড়াই নয়, বরং পুরো সমাজের সম্মিলিত দায়িত্ব।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/4964 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 04:56:50 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh