সাইবার স্পেসে জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার মতো অপরাধ ঠেকাতে কড়া শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫–এ।
সরকারি তথ্য বিবরণীতে শুক্রবার জানানো হয়, অধ্যাদেশের ২০ ধারা অনুযায়ী, এসব অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, অথবা এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
কেন এ আইন?
ডিজিটাল যুগে দ্রুত বাড়ছে অনলাইন লেনদেন, গেমিং ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক কর্মকাণ্ড। তবে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার প্রতারণা, জালিয়াতি ও অনলাইন জুয়ার মতো অপরাধও।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা গেলে অনলাইন প্রতারণা কমবে, আর সাধারণ ব্যবহারকারীর আস্থা বাড়বে।
তবে সমালোচকেরা সতর্ক করে বলেছেন—
-
আইন যেন সাংবাদিকতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার না হয়।
-
বাস্তবায়নে যেন নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
সরকারের অবস্থান
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বলছে, নতুন অধ্যাদেশের মূল উদ্দেশ্য হলো—
-
অনলাইন জুয়া ও প্রতারণা প্রতিরোধ,
-
সাধারণ নাগরিকের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করা,
-
এবং একটি বিশ্বস্ত ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করা।