ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলাম।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তিনি গতকাল থেকে শুরু করা জবানবন্দি আজ শেষ করেন। বিকেলে তাকে জেরা করবেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
আজকের শুনানিতে প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এসএইচ তামিমসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা। অপরদিকে গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
এই মামলায় গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একটি মামলায় আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনা এবং অপরটি রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার এবং প্রশাসনের একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল বলে একাধিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়ে। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কার্যক্রম চলছে।