দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে পদ্মার ইলিশের প্রথম চালান ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ১০টি ট্রাকে করে প্রায় ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ যায় কলকাতায়। এরপর আরও ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ গেছে স্থানীয় বাজারে। ধাপে ধাপে মোট ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
কলকাতায় ইলিশের দাম
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কলকাতা ও হাওড়ার পাইকারি বাজারে নিলামে ওঠে এই ইলিশ। খুচরা বাজারে প্রতি কেজির দাম ধরা হয়েছে ১,৬০০ থেকে ১,৭০০ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়)। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎসবের সময় চাহিদা বাড়লে দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।
রপ্তানির নিয়ম
২০১৫ সালের জাতীয় রপ্তানি নীতিতে শর্তসাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে বিদেশে প্রথমবার ইলিশ রপ্তানি হয় ২০১৯ সালে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দুর্গাপূজার আগে ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে।
চলতি বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশ ন্যূনতম সাড়ে ১২ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১,০৫৭ টাকা) রপ্তানি করা হচ্ছে।
উৎসবের বাজারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ইলিশ
কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলোও বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে বাংলাদেশের ইলিশ পৌঁছানোর খবর। স্থানীয় পাইকাররা বলছেন, “শারদোৎসবের সময়ে বাঙালির খাবারের টেবিল ইলিশ ছাড়া অসম্পূর্ণ। বাংলাদেশের ইলিশ এ সময় কলকাতার বাজারে বিশেষ মাত্রা যোগ করে।”
সামগ্রিক প্রভাব
বাংলাদেশের ইলিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুধু উৎসবের আনন্দই বাড়াচ্ছে না, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককেও আরও সুদৃঢ় করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, রপ্তানি চাহিদার কারণে জেলেদের আয়ের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।