• হোম > বাংলাদেশ > জনসচেতনতা বাড়ালেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব

জনসচেতনতা বাড়ালেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব

  • বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৭
  • ৪২

---

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুগদা শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাইমা কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। পরিবারের ধারণা ছিল সাধারণ জ্বর। কিন্তু পাঁচ দিন পর ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যায়, সাইমা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পর বর্তমানে সে সুস্থ আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। ইতোমধ্যেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকার বাইরের জেলা, বিশেষ করে বরগুনায় রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রধান চারটি কারণ হলো—

  • মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা না থাকা,

  • পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার অভাব,

  • ভিন্ন ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি,

  • এবং অসময়ে বৃষ্টিপাত।

বাংলাদেশে বর্তমানে ডেঙ্গুর চারটি ধরন (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪) বিদ্যমান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয়বার বা নতুন কোনো ধরনে আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে।

ডেঙ্গুর লক্ষণ
জ্বর, শরীরব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া।

চিকিৎসা
হালকা জ্বরের রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। তবে গুরুতর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে আইসিইউ পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে।

খাবার
ডেঙ্গু রোগীকে পর্যাপ্ত তরল খাবার, স্যালাইন, স্যুপ, ফলের রস, ডাবের পানি ও দুধ জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী
শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী, হার্টের সমস্যা বা নিয়মিত ডায়ালাইসিসে থাকা রোগীরা বেশি ঝুঁকিতে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো জনসচেতনতা। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করতে হবে, পানির পাত্র ঢেকে রাখতে হবে এবং সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।

মনে রাখতে হবে, প্রতিরোধই ডেঙ্গুর সর্বোত্তম সমাধান।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/4611 ,   Print Date & Time: Wednesday, 26 November 2025, 10:52:16 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh