ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এই বছর বিজয়ী হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। বিশেষ করে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে সাদিক কায়েম, জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে এস এম ফরহাদ এবং এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে মহিউদ্দিন খান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। তবে, এই নির্বাচনের সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি, যিনি গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
তন্বির জয়ের পিছনে সংগ্রাম
তন্বি, যিনি ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়ে ছিলেন, তার জয় শুধু নির্বাচনের জয় নয়, বরং একটি বৃহত্তর আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠিয়েছেন যে, কোনো অসত্য বা অন্যায় চাপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকাটা এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাকে সমর্থন দিয়েছে, যা তার প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঐক্য প্রকাশ করে।
ফলাফল: শিবির সমর্থিত প্যানেল জয়ী
এবারের নির্বাচনে সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। জিএস পদে ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের তানভীর বারী হামিম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট।
এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অন্যান্য সম্পাদক পদের মধ্যে ফাতেমা তাসনিম জুমা (১০ হাজার ৬৩১ ভোট), ইকবাল হায়দার (৭ হাজার ৮৩৩ ভোট), ও আসিফ আবদুল্লাহ (৯ হাজার ৬১ ভোট) সহ অনেকেই শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন।
এবারের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া
নির্বাচন শেষে সাদিক কায়েম এবং এস এম ফরহাদ তাদের বিজয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সাদিক কায়েম বলেন, “এটি আমাদের জয় নয়, এটি শিক্ষার্থীদের জয়। তাদের আস্থা ও সমর্থন আমাদের শক্তি। আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”
এদিকে, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তবে তন্বির বিজয় অনেককে নতুন উদ্দীপনা দিয়েছে।