ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার্জন হলের দোতলায় অবস্থিত অমর একুশে হলের একটি বুথে ভোটারকে পূর্ণকৃত ব্যালট সরবরাহ করার অভিযোগে পোলিং অফিসার ও ওই হলের কর্মচারী জিয়াউর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে যখন এক শিক্ষার্থীকে ভোট প্রদান করার জন্য আগে থেকেই পূর্ণকৃত ব্যালট দেওয়া হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত বুথ পরিদর্শন করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বুথে গিয়ে তিনি ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং অবিলম্বে ওই পোলিং অফিসার ও হলের কর্মচারী জিয়াউর রহমানকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করেন।
পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমান চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং জানান যে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল, তবে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, “আমি কোনোভাবেই ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটাতে চাইনি, এটি একটি মানবিক ভুল ছিল এবং আমি দায়ী।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে বলেন, “এ ধরনের ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থার পরিপন্থী এবং নির্বাচন কমিশন এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী দলগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা বজায় রাখতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া, ভোলাগঞ্জে ঘটে যাওয়া এই ধরনের ঘটনার পর নির্বাচনে জাল ভোট, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন কমিশনকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের ঘটনায় নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছে এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে আরো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
এছাড়া, নির্বাচনের অঙ্গীকার অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কোনো ধরনের অনিয়ম বা প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।