জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সহ-সভাপতি (ভিপি) পদ থেকে বাদ পড়া প্রার্থী অমর্ত্য রায় জন নির্বাচন স্থগিত করার জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে তিনি এই রিটটি দায়ের করেন। তার অভিযোগ, তাকে অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ভোটার হতে নিষেধ করা হয়েছে, যা তার অধিকার ভঙ্গ করে।
অমর্ত্য রায় জন, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, দাবি করেছেন যে তাকে অন্যায়ভাবে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে, জাকসু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো অনিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার হতে পারে না এবং তাই তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচন উপলক্ষে প্যানেল ঘোষণা:
জাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ইতোমধ্যে তাদের প্যানেল ঘোষণা করেছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর হওয়া এই নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের জন্য ১৭৯ জন প্রার্থী লড়বেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এদিকে, নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (ডিএসএস), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির-সহ অন্যান্য সংগঠন বিভিন্ন প্যানেল ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’, এবং ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’-এর মধ্যে।
পূর্ববর্তী রিট আবেদন:
এছাড়া, ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। তবে, পরবর্তীতে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আপিল বিভাগের শুনানির পর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়, ফলে ডাকসু নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
এখন, জাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন নিয়ে নতুন নতুন আইনগত প্রতিবন্ধকতা এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। নির্বাচন অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।