
সরবরাহ ভালো থাকায় রাজধানীর বাজারে সবজি, মাছ ও ডিমের দাম কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। তবে এখনো নিম্নআয়ের মানুষরা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারছেন না।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিউ মার্কেট, হাজারীবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঁচামরিচের দাম গত সপ্তাহের ২৪০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় নেমেছে। বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করায় দাম কমছে। বর্তমানে দেশি শশা ৬০ টাকা, বেগুন ৮০–১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, দেশি গাজর ১০০–১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৯০–১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, টমেটো ১৫০ টাকা, সিম ১৮০–২০০ টাকা এবং জালি কুমড়া ও লাউ ৬০–৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ ৭৫–৮০ টাকা কেজি দরে, আলু ২৫–৩০ টাকা, রসুন ১৪০–১৬০ টাকা এবং দেশি আদা ১৮০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুদি বাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
মাছ ও ডিমের দামেরও হ্রাস দেখা গেছে। মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ ৩৮০–৪৫০ টাকা, চাষের পাঙাস ১৮০–২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০–২৫০ টাকা, মাঝারি কৈ ৩০০–৩৫০ টাকা, দেশি শিং ৭০০ টাকা, বড় পাবদা ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০–৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজি ইলিশ ২২০০–২৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমে ১৪৫–১৫০ টাকা থেকে ১৩০–১৩৫ টাকায় নেমেছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০–১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০–৩৩০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০–৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১৫০–১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, “মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য বাজার করা এখনও কষ্টকর। মাছ-মাংস, ডিম ও সবজি কিনতে সঞ্চয় ভাঙতে হচ্ছে। সরকারের উচিত নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।”
বিক্রেতারা আশা করছেন, শীতকালীন সবজি আসার সঙ্গে সঙ্গে আগামী কয়েক সপ্তাহে দাম আরও কমবে।