বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত করার লক্ষ্যে ধর্মীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। শুক্রবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধর্ম উপদেষ্টাকে সংবর্ধনা দেওয়ার পর আলোচনায় এ ঐকমত্য গড়ে ওঠে।
সকালে ইসলামাবাদের কার্যালয়ে বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনকে অভ্যর্থনা জানান পাকিস্তানের ফেডারেল ধর্মমন্ত্রী সরদার মুহাম্মদ ইউসুফ। পরে তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। ঢাকায় ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আলোচনায় বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী।
বাংলাদেশকে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির মডেল উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, দেশে ৯১ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলমান হলেও সনাতন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষও বসবাস করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ পুরোপুরি বজায় রয়েছে, যেখানে যেকোনো নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে তার ধর্ম পালন করতে পারে।
হজ ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী জানান, সেদেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৩৩ শতাংশ মানুষ বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করে থাকেন।
এ সময় পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. সৈয়দ আতা উর রেহমান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস কাউন্সিলর মুহাম্মদ তৈয়ব আলী উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে বর্তমানে ইসলামাবাদে সরকারি সফরে রয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা। সফরকালে তিনি পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলনের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এছাড়া, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।