ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহিন সরকার এই ঘোষণা দেন।
এ সময় আবু বাকের মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন। মাহিন সরকার তার বক্তব্যে বলেন, “প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তবে আমার সমর্থকদের বলছি, আবু বাকের মজুমদারের জয়-ই মাহিন সরকারের জয়।” তার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নতুন এক রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের দিকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে প্রস্তুত।
মাহিন আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিদের মধ্যে যে ফাটল ধরেছে, সেখান থেকে ঐক্যে ফিরতেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।” তিনি এটাও জানান, এই ঐক্য রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, মাহিন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আবু বাকের মজুমদার। তিনি জানান, “মাহিন সরকারের এই পদক্ষেপ আমাদের জন্য আশাবাদী একটি পদক্ষেপ। আমরা একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্রদের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।”
প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মাহিন সরকার স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে প্রার্থী হন। তবে, এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগে তার দল এনসিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এনসিপির সিদ্ধান্তের পর মাহিন সরকারের রাজনৈতিক ভবিষ্যত এখন নতুন একটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের মাঠে নতুন এক বাঁক দেখা যাচ্ছে, যেখানে দুই প্যানেলের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।