গাজা উপত্যকার সর্ববৃহৎ নগরকেন্দ্র গাজা সিটির প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিধ্বংসী যুদ্ধের পর এবার গাজার সবচেয়ে বড় শহরটি দখলে নেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে তেলআবিবের সেনারা।
তীব্র অভিযান ও হতাহতের খবর
ইসরায়েলি সেনারা সম্প্রতি পরিকল্পিত পূর্ণাঙ্গ অভিযানের আগে উত্তর গাজায় হামলা আরও জোরদার করেছে। এতে গাজার বহু ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের হামলায় শুধু গাজা সিটিতেই অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আর পুরো গাজা উপত্যকায় একদিনে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৭৫ জন।
মানবিক বিপর্যয়
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল ক্রমেই যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ বাড়াচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলি সরকার তাদের অভিযান থামাতে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আজ এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক শীর্ষ কর্মকর্তা চলমান যুদ্ধকে সরাসরি ‘গণহত্যা’ (Genocide) আখ্যা দিয়েছেন। যদিও ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে বিশ্বের অনেক সরকার ও অসংখ্য মানবাধিকার সংস্থা একই শব্দ ব্যবহার করছে।
ইসরায়েলের ঘোষণা
টেলিভিশনে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন,
“আমরা গাজা সিটির ৪০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। অভিযান আগামী দিনগুলোতে আরও প্রসারিত ও তীব্র হবে।”
এই ঘোষণা বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি দ্রুত যুদ্ধবিরতি না ঘটে, তবে গাজার মানবিক বিপর্যয় আরও জটিল ও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।