• হোম > বিচার বিভাগ > তারেক রহমান-বাবরের খালাস বহাল রাখল আপিল বিভাগ

তারেক রহমান-বাবরের খালাস বহাল রাখল আপিল বিভাগ

  • বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২১
  • ৫৬

---

বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে এ হামলায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মী, আহত হন শতাধিক মানুষ। সেই রক্তাক্ত ঘটনার বিচার নিয়ে দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের পথচলার পর আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে মামলাটি।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ ঐতিহাসিক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রাখেন, ফলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিই খালাস পেলেন।


আদালতের কার্যক্রম

আসামিদের পক্ষে শুনানিতে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এছাড়া বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও অনেকে।

রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।


দীর্ঘ বিচারের পথচলা

২০০৪ সালের এ নৃশংস হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। বিচারিক আদালত ২০১৮ সালে রায় দিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।

কিন্তু হাইকোর্টে এসে সব আসামিই খালাস পান। আর আজ আপিল বিভাগের রায়ে সেই খালাসই চূড়ান্তভাবে বহাল হলো।

২১ আগস্টের সেই রক্তাক্ত বিকেল এখনো অনেক পরিবারকে শোকাহত করে তোলে। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচারের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছেন। কেউ বাবা-মা হারিয়েছেন, কেউ সন্তান। অনেকেই আজও শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে বেঁচে আছেন।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/4437 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 03:47:49 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh