• হোম > বাণিজ্য > এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা কৃষকের দোরগোড়ায়

এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা কৃষকের দোরগোড়ায়

  • মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:০২
  • ৮৫

---

ডিজিটাল আর্থিক সেবার অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ হলো কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের তুলাতলি ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টারে। এখানে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর সহযোগিতায় এবং ই-ফার্মারস বাংলাদেশ লিমিটেডের (ই-ফার্মার) তত্ত্বাবধানে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।

এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফএওর কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট ডি সিম্পসন। তিনি কৃষকের প্রতীকী ১০ টাকার সঞ্চয় হিসাব খোলার মাধ্যমে এই শাখাটির কার্যক্রম শুরু করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিদ্যুৎ কুমার মহালদার, ই-ফার্মারস বাংলাদেশ লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুজ্জামান সাঈদ, ডিজিটাল ট্রি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শিকদার আক্তারুজ্জামান এবং ব্যাংক এশিয়ার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেন ভূইয়া।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী। উল্লেখ্য, ই-ফার্মারস বাংলাদেশ হলো ডিজিটাল ট্রি বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।

কৃষকের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা

এ উদ্যোগের মাধ্যমে তুলাতলি গ্রামের কৃষকেরা সহজে ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন। আগে ব্যাংক সেবা নিতে দূরে যেতে হতো, সময় ও অর্থ ব্যয় হতো। এখন গ্রামে বসেই কৃষকেরা সঞ্চয় হিসাব খোলা, টাকা জমা–উত্তোলন, রেমিট্যান্স, কৃষি ঋণসহ নানা সুবিধা পাবেন।

কৃষকের জন্য ব্যাংকিং সেবা সহজলভ্য করায় কৃষির সঙ্গে সরাসরি জড়িত মানুষের জীবন–মান উন্নয়নে এ উদ্যোগ বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বক্তাদের অভিমত

প্রধান অতিথি রবার্ট ডি সিম্পসন বলেন, “ডিজিটাল ফাইন্যান্স সেবা কৃষকের জীবনমান বদলে দিতে পারে। গ্রামের মানুষ যদি সহজে ব্যাংকের সেবা পায়, তবে তাদের আয়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুযোগ আরও বাড়বে।”

ই-ফার্মারস বাংলাদেশের এমডি জাহিদুজ্জামান সাঈদ বলেন, “আমরা চাই প্রযুক্তি ও ব্যাংকিং একসঙ্গে মিলিয়ে কৃষকের জীবনকে সহজ করতে। তুলাতলি ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার হবে এর বাস্তব উদাহরণ।”

ব্যাংক এশিয়ার প্রতিনিধি জাকির হোসেন ভূইয়া বলেন, “এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংক এখন আর শহরে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও সমানভাবে সুযোগ পাবে।”

গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত

তুলাতলি গ্রামের এই কার্যক্রমকে স্থানীয়রা স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকের মতে, গ্রামের কৃষকের কাছে ব্যাংক পৌঁছে যাওয়ায় ঋণ, সঞ্চয় ও লেনদেন সহজ হবে। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/4371 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 07:52:26 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh