মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ১১তম দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ গতকাল (সোমবার) ১০ম দিনে সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ মোট ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মামলার প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স
-
প্রসিকিউশন পক্ষে: চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম।
-
ডিফেন্স পক্ষে: পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
-
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে জায়েদ বিন আমজাদ।
মামলায় সাবেক আইজিপি আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হিসেবে অংশগ্রহণের আবেদন করেছিলেন, যা ট্রাইব্যুনাল অনুমোদন করেছে। প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, আজ তার সাক্ষ্য নেওয়া হতে পারে।
মামলার পটভূমি
-
মামলার অভিযোগ গঠন: ১০ জুলাই
-
বিচার শুরুর আদেশ: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১
-
মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা চলমান:
-
গুম-খুনের ঘটনা: আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত।
-
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড: হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে।
-
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অংশগ্রহণ করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ট্রাইব্যুনালের গুরুত্ব
এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার অংশ। এ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে চলতে হবে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, আজকের সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে মামলার অভিযোগ ও ঘটনা উদঘাটনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসতে পারে।